Baranti,Bengali Travel Blog, Bengali tour itinerary, travel plan,weekend tour from Kolkata,offbeat weekend getaways from Kolkata,weekend destinations from Kolkata,Weekend Destinations Near Kolkata To Go To,weekend destinations near kolkata within 100 kms,weekend destinations kolkata west bengal,best weekend destinations near kolkata,weekend destinations near kolkata by car,weekend destinations near kolkata in summer,offbeat weekend destinations near kolkata,weekend destinations near kolkata in monsoon , weekend destinations near kolkata in rainy season
ছোটোবেলায় যখন স্কুলে পড়তাম তখন আমরা সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকতাম ৫ ই সেপ্টেম্বরের জন্য। কারন আমাদের স্কুলে একটা মজার নিয়ম ছিল। শিক্ষক দিবসের দিন আমরা ছাত্র রা সুযোগ পেতাম আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার। খুবই সুখের ছিল দিন গুলো। যাই হোক , এখন বরন্তী নিয়ে কিছু বলা মানে অনেক টা সেই রকম, শিষ্য হয়ে গুরু কে জ্ঞান দেওয়া।
বম্বেতে থাকি, IT ডেভেলপার। তিন মাস পর পর বাড়ি আসি। দেশের নানা জায়গায় ঘোরার সুযোগ হলেও গ্ৰাম বাংলার অসাধারণ সৌন্দর্য উপভোগ করার সৌভাগ্য হয়ে উঠছিল না। শেষমেষ কলেজ জীবনের দুই হোষ্টেল-মেট, অমর্ত্য আর শুভাশিসের তরফ থেকে বরন্তীর প্রস্তাব টা এল। না করার কোনো কারণই নেই। বেরিয়ে পড়লাম তিন মাষ্কেটিয়ার্স মিলে। হাওড়া থেকে রাত ১১ টা ০৫ মিনিটের হাওড়া-বোকারো স্টিল সিটি এক্সপ্রেস ধরে সোজা আদ্রা জংশন। সারাটা রাত গল্প করে কাটালাম। বুঝলাম এই তিন বছরে কিছুই পাল্টায় নি। ভোর বেলায় আদ্রাতে ঢুকলো ট্রেন, আগের রাতে শুভাশিসের মেসে করা জোমাটোর ডিনার সেই কখন হজম হয়ে গেছে।
আদ্রা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন স্টেশন। চা আর পুরুলিয়া স্পেশাল কেক খেয়ে আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম মুরাডি যাওয়ার ট্রেনের জন্য। আদ্রা থেকে তিনটে স্টেশন পরে মুরাডি। রিসর্ট থেকে আমাদের রিসিভ করার জন্য গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল। আমাদের রিসর্টের নাম অ্যলিয়র দা বরন্তী। নতুন রিসর্ট, পরিষ্কার ছিমছাম। ম্যানেজার সুরজিত হেল্পফুল লোক। ঘর থেকেই বরন্তী লেক দেখা যায়।ব্রেকফাস্টে আলুর পরোটা। রাত জাগা ছিল। ফ্রেশ হয়ে সবাই এক্টু জিরিয়ে নিলাম। বিকেলে রিসর্টের গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম শুশুনিয়া পাহাড় আর বিহারী নাথ মন্দির দেখতে। শুশুনিয়া পাহাড়ের নাম পড়েছিলাম ক্লাস এইটের ভূগোল বইয়ে । ভালো লাগলো চাক্ষুষ করে। বিহারীনাথ মন্দিরের লাগোয়া চায়ের দোকানের খাস্তা কচুরি অসাধারণ। রিসর্টে ফিরতে ফিরতে রাত হল। ডিনারে কষা মাংস আর রুটি খেয়ে শুয়ে পড়লাম।
পরের দিন পান্চেত ড্যাম , গড়পন্চকোট আর জয়চন্ডী পাহাড় দেখে নিলাম সকাল সকাল। বিকেল টা উপভোগ করলাম বরন্তী লেকের ধারে সূর্যাস্ত দেখে। রিল্যাক্স করার জন্য অসাধারণ। দেখলাম কেউ পাহাড়ের শুকনো পাতা জড়ো করে আগুন ধরিয়েছিল। সেটা ধীরে ধীরে বিরাট আকার নিল। যাই হোক সন্ধ্যা বেলায় রিসর্টের ছাদে বসে মুরি পকোড়া সহোযোগে দারুন আড্ডা হল।
পরের দিন টাও বরন্তী তেই কাটালাম। যদিও রিসর্ট থেকে অয্যোধা পাহাড় দেখতে যেতে বলেছিল। আমরা বরন্তী তেই সূর্যোদয় সূর্যাস্ত দেখে, ভালো মন্দ খেয়ে আর গল্প করে কাটালাম।
বম্বেতে থাকি, IT ডেভেলপার। তিন মাস পর পর বাড়ি আসি। দেশের নানা জায়গায় ঘোরার সুযোগ হলেও গ্ৰাম বাংলার অসাধারণ সৌন্দর্য উপভোগ করার সৌভাগ্য হয়ে উঠছিল না। শেষমেষ কলেজ জীবনের দুই হোষ্টেল-মেট, অমর্ত্য আর শুভাশিসের তরফ থেকে বরন্তীর প্রস্তাব টা এল। না করার কোনো কারণই নেই। বেরিয়ে পড়লাম তিন মাষ্কেটিয়ার্স মিলে। হাওড়া থেকে রাত ১১ টা ০৫ মিনিটের হাওড়া-বোকারো স্টিল সিটি এক্সপ্রেস ধরে সোজা আদ্রা জংশন। সারাটা রাত গল্প করে কাটালাম। বুঝলাম এই তিন বছরে কিছুই পাল্টায় নি। ভোর বেলায় আদ্রাতে ঢুকলো ট্রেন, আগের রাতে শুভাশিসের মেসে করা জোমাটোর ডিনার সেই কখন হজম হয়ে গেছে।
আদ্রা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন স্টেশন। চা আর পুরুলিয়া স্পেশাল কেক খেয়ে আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম মুরাডি যাওয়ার ট্রেনের জন্য। আদ্রা থেকে তিনটে স্টেশন পরে মুরাডি। রিসর্ট থেকে আমাদের রিসিভ করার জন্য গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল। আমাদের রিসর্টের নাম অ্যলিয়র দা বরন্তী। নতুন রিসর্ট, পরিষ্কার ছিমছাম। ম্যানেজার সুরজিত হেল্পফুল লোক। ঘর থেকেই বরন্তী লেক দেখা যায়।ব্রেকফাস্টে আলুর পরোটা। রাত জাগা ছিল। ফ্রেশ হয়ে সবাই এক্টু জিরিয়ে নিলাম। বিকেলে রিসর্টের গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম শুশুনিয়া পাহাড় আর বিহারী নাথ মন্দির দেখতে। শুশুনিয়া পাহাড়ের নাম পড়েছিলাম ক্লাস এইটের ভূগোল বইয়ে । ভালো লাগলো চাক্ষুষ করে। বিহারীনাথ মন্দিরের লাগোয়া চায়ের দোকানের খাস্তা কচুরি অসাধারণ। রিসর্টে ফিরতে ফিরতে রাত হল। ডিনারে কষা মাংস আর রুটি খেয়ে শুয়ে পড়লাম।
পরের দিন পান্চেত ড্যাম , গড়পন্চকোট আর জয়চন্ডী পাহাড় দেখে নিলাম সকাল সকাল। বিকেল টা উপভোগ করলাম বরন্তী লেকের ধারে সূর্যাস্ত দেখে। রিল্যাক্স করার জন্য অসাধারণ। দেখলাম কেউ পাহাড়ের শুকনো পাতা জড়ো করে আগুন ধরিয়েছিল। সেটা ধীরে ধীরে বিরাট আকার নিল। যাই হোক সন্ধ্যা বেলায় রিসর্টের ছাদে বসে মুরি পকোড়া সহোযোগে দারুন আড্ডা হল।
পরের দিন টাও বরন্তী তেই কাটালাম। যদিও রিসর্ট থেকে অয্যোধা পাহাড় দেখতে যেতে বলেছিল। আমরা বরন্তী তেই সূর্যোদয় সূর্যাস্ত দেখে, ভালো মন্দ খেয়ে আর গল্প করে কাটালাম।
COMMENTS