ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশা সীমান্ত লাগোয়া ঝাড়গ্রাম জেলার মূল বৈশিষ্ট্য হলো লালমাটি। শাল পিয়াল মহুয়া ইত্যাদি গাছের সমাহারের জন্য ঝাড়গ্রাম কে অরণ্য সুন্দরী ও বলা হয়।2017 সালে জন্ম নেওয়া পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম নবগঠিত জেলা ঝাড়গ্রাম একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। ইতিহাসের পাতায় যার অত্যুজ্জ্বল উপস্থিতি।
ইতিহাসের কথা
আইন-ই-আকবরীতে এই জনপদ “ ঝাড়িখন্ড “ নামে উল্লেখিত। তখন সেখানে মূলত সাঁওতাল ,মুন্ডা , কুর্মি , লোধা জনগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস ছিল । মুঘল সম্রাট আকবর পূর্ব ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অম্বরের রাজা মানসিংহ কে পাঠান । মানসিংহ তৎকালীন স্থানীয় মাল শাসকদের পরাজিত করেন এবং মল্লদেব উপাধি গ্রহণ করেন । ফেরার সময় সর্বেশ্বর সিংকে মনসাবদারী পুরস্কার হিসেবে প্রদান করেন। সর্বেশ্বর সিং ছিলেন ঝাড়গ্রাম রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি রাজা উপাধি গ্রহণ করেন এবং রাজ্যের রাজধানীর নাম রাখেন ঝাড়গ্রাম, যার অর্থ একটি বনাঞ্চল গ্রাম যা দেয়াল এবং খাল দ্বারা বেষ্টিত। 1767 অবধি ঝাড়গ্রাম একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বাধীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দু'বারের চেষ্টায় 1793 সালে রাজা মন গোবিন্দ মল্ল দেবকে পরাস্ত করেন । তদানীন্তন বাংলার ব্রিটিশ গভর্নর কোম্পানির অধীনে তার রাজ্যকে একটি জমিদারি এস্টেট এর স্বীকৃতি দেন । ঝাড়গ্রামের শেষ তথা 16 তম শাসক নরসিংহ মল্ল দেব 1947 সালে দরিদ্র কৃষকদের ১০ হাজার বিঘা জমি দান করেন, যা তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের একক বৃহত্তম ভূমি দাতা করে তোলে।
ঝাড়গ্রামে কি কি দেখবেন
ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি
ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানা
সাবিত্রী মন্দির
ট্রাইবাল মিউজিয়াম
ভেষজ উদ্যান
কৃষ গার্ডেন
চিলকিগড় কনক দূর্গা মন্দির
চিল্কিগড় রাজবাড়ী
ডুলুং নদী
ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানা
সাবিত্রী মন্দির
ট্রাইবাল মিউজিয়াম
ভেষজ উদ্যান
কৃষ গার্ডেন
চিলকিগড় কনক দূর্গা মন্দির
চিল্কিগড় রাজবাড়ী
ডুলুং নদী
বেলপাহাড়ি তে কি কি দেখবেন
গাডরাসিনি পাহাড়
খান্দরানি লেক
লাল জল পাহাড়
কাকড়াঝোড় জঙ্গল
ধাঙ্গিকুসুম জলপ্রপাত
ঘাগরা জলপ্রপাত
তারা ফেনী ড্যাম
খান্দরানি লেক
লাল জল পাহাড়
কাকড়াঝোড় জঙ্গল
ধাঙ্গিকুসুম জলপ্রপাত
ঘাগরা জলপ্রপাত
তারা ফেনী ড্যাম
ঝাড়গ্রামে কিভাবে যাবেন
হাওড়া থেকে ট্রেনে আসতে হলে টাটানগর গামী স্টিল এক্সপ্রেস অথবা ইস্পাত এক্সপ্রেস এ আসতে হবে। এক্ষেত্রে মাত্র ২:৩০ ঘন্টা সময় লাগে। এছাড়া খড়গপুর থেকেও একাধিক ট্রেন পাওয়া যায়। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি বহু বাস আছে।
Jhargram Bus Timetable -- Click Here
প্রথম দিন আমরা যেহেতু বাসে করে ঝাড়গ্রাম গিয়েছিলাম তাই আমাদের ওখানে পৌঁছতে পৌঁছতে দুপুর গড়িয়ে গিয়েছিল। হোটেলে চেক ইন করে লাঞ্চ সেরে দুপুর দুটোর মধ্যে একটা টোটো ভাড়া করে আমরা বেরিয়ে পড়লাম সাইটসিন করবো বলে ।
আমাদের প্রথম গন্তব্য ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানা। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে চিড়িয়াখানা মিনিট কুড়ির রাস্তা । কুড়ি টাকা এন্ট্রি ফির বিনিময় ভিতরে প্রবেশ করে প্রথমেই সুসজ্জিত গোলাপ বাগান পেরিয়ে তারপর একে একে উটপাখি সজারু পায়রা ইমু খরগোশ বাজপাখি শকুন বাঁদর সাপ গোসাপ হরিণ ছাগল চিতা বাঘ ভাল্লুক আর সাথে মুখ দিয়ে উদ্ভট আওয়াজ বের করা মনুষ্যরূপী কিছু নিরীহ প্রাণীর দর্শন সেরে আমরা বেরিয়ে এলাম । এখানকার জন্য সময় বরাদ্দ 30 থেকে 40 মিনিট ।
ট্রাইবাল মিউজিয়াম ও ভেষজ উদ্যান
সময়ের অভাবে আমরা এই দুটো জায়গা মিস করেছিলাম ।আপনারা চাইলে অবশ্যই যেতে পারেন।
বেসরকারী উদ্যোগে তৈরি এই বাগানটি পৌঁছানোর রাস্তাটা একটু খারাপ । মাথাপিছু 50 টাকার বিনিময় ভিতরে ঢুকলাম। বাগানের ভিতর রয়েছে প্রচুর ফুল গাছ বিশেষত গোলাপ এছাড়া কিছু মাছ এবং অন্যান্য জীবজন্তু চোখে পড়ল। তবে একটা কথা অবশ্যই উল্লেখ্য যে যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য ভিতরে ফোয়ারা থেকে ফুলপরী সব ব্যবস্থাই আছে। এখানকার জন্য সময় বরাদ্দ 30 থেকে 40 মিনিট ।
ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি
কৃষ গার্ডেন থেকে বেরিয়ে 30 মিনিটের মধ্যে আমরা পৌছে গেলাম ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি তে। এই রাজবাড়িটি মল্ল দেব রাজপরিবারের বর্তমান ঠিকানা। নিচতলার কিছু ঘর এখন হেরিটেজ হোটেল এ রূপান্তর করা হয়েছে তাই আমাদের ভিতরে ঢোকার অনুমতি নেই। তাই বাইরে থেকে কয়েকটা ছবি তুলে আমরা চলে এলাম আমাদের পরবর্তী গন্তব্যে । রাজবাড়ীর অনতি দূরে অবস্থিত এই মন্দির । রাজা সর্বেশ্বর সিং পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে ফেরার সময় স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দিরটি স্থাপন করেন ।সাড়ে তিনশ বছর ধরে আজও নিয়ম নিষ্ঠার সাথে এখানে পুজো অর্চনা হয়ে চলেছে । সাবিত্রী দেবী এখানে দেবী দুর্গা ধ্যানে পূজিত হন । মন্দির দর্শন করে মন্দিরের উল্টোদিকের দোকান থেকে চা সিঙ্গারা সহযোগে খাওয়া-দাওয়া সারতে সারতে অন্ধকার নেমে এলো ।
দ্বিতীয় দিন প্রথম দিন সন্ধ্যেবেলা হোটেলে ফিরেই আমরা পরের দিন সকালে বেলপাহাড়ি যাওয়ার জন্য গাড়ি বুক করে নিলাম। কি কি স্পর্ট ঘুরবো সে বিষয়ে আগে থেকে ভালোভাবে জেনে নিলাম । হোটেল থেকেও গাড়ি বুক করার ব্যবস্থা আছে কিন্তু সেক্ষেত্রে ভাড়া একটু বেশি হতে পারে । সকাল আটটার মধ্যে আমরা রওনা দিলাম। যাওয়ার পথে প্রথমেই পেটপুজো টা সেরে নিলাম তারপর সুন্দর রাস্তা ধরে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আমাদের গাড়ি এগিয়ে যেতে থাকলো।
সারথি দাদা টিও বেশ মিশুকে কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্যুরিজম থেকে রাজনীতি নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা জমে উঠলো।
দ্বিতীয় দিন প্রথম দিন সন্ধ্যেবেলা হোটেলে ফিরেই আমরা পরের দিন সকালে বেলপাহাড়ি যাওয়ার জন্য গাড়ি বুক করে নিলাম। কি কি স্পর্ট ঘুরবো সে বিষয়ে আগে থেকে ভালোভাবে জেনে নিলাম । হোটেল থেকেও গাড়ি বুক করার ব্যবস্থা আছে কিন্তু সেক্ষেত্রে ভাড়া একটু বেশি হতে পারে । সকাল আটটার মধ্যে আমরা রওনা দিলাম। যাওয়ার পথে প্রথমেই পেটপুজো টা সেরে নিলাম তারপর সুন্দর রাস্তা ধরে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আমাদের গাড়ি এগিয়ে যেতে থাকলো।
সারথি দাদা টিও বেশ মিশুকে কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্যুরিজম থেকে রাজনীতি নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা জমে উঠলো।
ঘন্টা দেড়েক পর গাড়ি এসে থামল গাডরাসিনি পাহাড়ের নিচে । খাড়াই রাস্তা আর তার ওপর জমে থাকা ছোট ছোট নুড়িপাথর পেরিয়ে উপরে পৌঁছলে একটা সুন্দর প্যানারমিক ভিউ দেখতে পাবেন এছাড়া উপরে থাকা দুটি মন্দির বাড়তি পাওনা। এখানে যারা আসছেন তাদের জন্য প্রথমেই বলে রাখি সাথে অবশ্যই জলের বোতল রাখতে হবে ।
গ্রাম্য কাঁচা পাকা রাস্তা ধরে মিনিট পনেরোর মধ্যে আমরা চলে এলাম খান্দরানি লেকে। চারিদিক পাহাড় আর বড় বড় শাল পিয়াল গাছে ঘেরা এই কৃত্রিম লেক বেলপাহাড়ীর অন্যতম আকর্ষণ। গাড়ি থেকে নেমে একটু এগোলেই আছে বনদপ্তর এর ওয়াচ টাওয়ার । এখানকার নিস্তব্ধতা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
এই লাল জলপাহাড় বা লাল জল গুহা প্রাচীন সভ্যতার এক জ্বলন্ত উদাহরণ। যেন বড় বড় কালো পাথর একটি আরেকটির ওপর সাজিয়ে প্রকৃতি এখানে বসে আছে ।এর উচ্চতা আনুমানিক 200 মিটার। শোনা যায় এখানে যে প্রাচীন জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গেছে সেগুলি মিউজিয়ামে সঞ্চিত আছে। গাডরাসিনি পাহাড়ের থেকেও এখানে ওঠার রাস্তা টা আরো খাড়াই। শীতকালে এখানে এলে অবশ্যই স্থানীয় গুড় আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন। নিচে একটি মন্দির আছে পুজোর সময় এলে বাড়তি পাওনা হিসেবে প্রসাদ পেতেই পারেন।
লাল জলপাহাড় দেখে ঘন জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে তৈরি হয় পিচ রাস্তা ধরে আমরা এগিয়ে যেতে থাকলাম দু'পাশে জঙ্গল গভীর থেকে গভীরতর হল যাওয়ার পথে যে দু একটা গ্রাম পরল তার বাড়ি তৈরীর আদল এবং রং অবশ্যই চোখে পড়ল।
ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কাকড়াঝোড় ছেড়ে আমরা চলে এলাম ধাঙ্গিকুসুম জলপ্রপাত এর কাছে। এখানে গাড়ী থেকে নেমে বেশ অনেকটা রাস্তা হেঁটে মূল জলপ্রপাতের কাছে যেতে হয়। যাওয়ার পথে স্থানীয় হস্তশিল্পের বেশকিছু দোকান চোখে পড়বে যারা এখানকার পাথর কেটে বিভিন্ন আসবাবপত্র পূজার বাসন ইত্যাদি তৈরি করেন। এখানকার জলপ্রপাত যেহেতু বর্ষার জলে পুষ্ট তাই শীতকালে একদমই জল থাকে না কিন্তু বর্ষায় এখানে অন্যরূপে ফিরে আসে। ঘড়ির কাটায় তখন পৌনে তিনটা বাজে ।এবার পেটপুজো পালা ,আগে থেকে খাবারের কথা আমাদের বলা ছিলো তাই দেরি না করে আমরা খাওয়া-দাওয়া করতে চলে গেলাম।
খাওয়া-দাওয়া সেরে আমাদের গাড়ি ছুটলো ঘাগরা জলপ্রপাত এর উদ্দেশ্যে । শোনা যায় “ বেহুলা লখিন্দর” সিনেমার শুটিং এখানে হয়েছিল। ঘড়ির কাটায় তখন প্রায় চারটে বাজে এখানে পৌঁছে দেখি রীতিমতো মেলা বসে গেছে প্রচুর লোক প্রচুর গাড়ি হইচই আর মাইকে বাজছে “টুম্পা সোনা “। দেদার ফটোসেশন সেরে ড্রাইভার দাদা তাড়ায় আমরা আবার রওনা দিলাম।
স্থানীয় মানুষের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে এই বাঁধের ভূমিকা অপরিসীম। বর্ষাকালে এখানে প্রচুর জল থাকে। বেলপাহাড়ি থেকে এর দূরত্ব 5 কিলোমিটার। আজকের মত এটাই আমাদের শেষ গন্তব্য। আবার আমরা শাল পিয়ালের বুক চিরে চলে যাওয়া রাস্তা ধরে ফিরে এলাম ঝাড়গ্রাম শহরে।
বেলপাহাড়ি যাওয়ার সময় অবশ্যই একটা জিনিস মাথায় রাখবেন
• শুধুমাত্র বেলপাহাড়ি ঘোরার জন্য একটা দিন বরাদ্দ করতে হবে।
• বেলপাহাড়ি তে যদি আপনারা গাড়ি ভাড়া করে আসতে চান তাহলে আগে থেকে ঠিক করতে হবে।
• সকাল আটটার মধ্যে না বের হতে পারলে সমস্ত স্পট দেখে সন্ধের মধ্যে ফিরে আসা সম্ভব নয়।
• সাথে পানীয় জল এবং কিছু খাবার অবশ্যই রাখতে হবে।
তৃতীয় দিন অর্থাৎ শেষ দিন আমরা সকালে হোটেল থেকে চেক আউট করে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম। আজকে আমরা ঝাড়গ্রামের বাকি অংশ দেখে নেব যেগুলো প্রথমদিন সময়ের অভাবে দেখতে পারিনি। বাস রাস্তায় এসে একটা টোটো ভাড়া করে আমরা প্রথমে গেলাম চিল্কিগড় কনক দূর্গা মন্দির দেখবো বলে।
• বেলপাহাড়ি তে যদি আপনারা গাড়ি ভাড়া করে আসতে চান তাহলে আগে থেকে ঠিক করতে হবে।
• সকাল আটটার মধ্যে না বের হতে পারলে সমস্ত স্পট দেখে সন্ধের মধ্যে ফিরে আসা সম্ভব নয়।
• সাথে পানীয় জল এবং কিছু খাবার অবশ্যই রাখতে হবে।
তৃতীয় দিন অর্থাৎ শেষ দিন আমরা সকালে হোটেল থেকে চেক আউট করে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম। আজকে আমরা ঝাড়গ্রামের বাকি অংশ দেখে নেব যেগুলো প্রথমদিন সময়ের অভাবে দেখতে পারিনি। বাস রাস্তায় এসে একটা টোটো ভাড়া করে আমরা প্রথমে গেলাম চিল্কিগড় কনক দূর্গা মন্দির দেখবো বলে।
কথিত আছে শক্তির দেবী মহামায়া তৎকালীন রাজা গোপীনাথকে এই মন্দির তৈরি করতে স্বপ্নাদেশ দেন।আমরা মন্দিরে ঢোকার আগে বাইরে থেকে ব্রেকফাস্ট সেরে নিলাম এবং ভিতরে যাওয়ার টিকিট কেটে নিলাম। এরপর মূল মন্দিরের পৌঁছতে যে রাস্তা দিয়ে যেতে হয় রাস্তার দুধারে প্রচুর গাছ কিন্তু মজার কথা হল গাছগুলির আলাদা করে নাম গায়ে লেখা আছে এবং নামগুলি অবশ্যই খুব ইন্টারেস্টিং। মন্দির চত্বরে পৌছেই বাঁদিকে পূজোর সামগ্রী কেনার কাটার দোকান আর ডানদিকে মূল মন্দির। মন্দির চত্বরে বেশ ভিড় ছিল আমরা ভিড় ঠেলে প্রতিমা দর্শন করে দু চার পা হেটে চলে এলাম ডুলং নদী পাড়ে। এখানেও পিকনিকের আমেজ প্রচুর হইচই। নদীর পাড়ে কিছুক্ষন ফটোসেশন সেরে আমরা চলে এলাম চিল্কিগড় রাজবাড়ীতে।
ইতিহাস গত ভাবে ডুলং নদী চিল্কিগড় রাজবাড়ী এবং কনক-দুর্গা মন্দির মাঝখানে অবস্থিত । কনক-দুর্গা মন্দির থেকে এই রাজবাড়ির দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। এই প্রাসাদের চারপাশের উঁচু দেওয়াল বর্গী আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য তৈরি হয়েছিল। এখানে বর্তমানে একটি সরকারি অফিস আছে। এই রাজবাড়িটি বর্তমানে বিভিন্ন সিনেমা শুটিংয়ে জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। "দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন" চলচ্চিত্রটির কিছু দৃশ্য এখানে দৃশ্যায়িত হয়েছিল । রাজবাড়ী চত্বরে দুটি প্রাচীন মন্দির রয়েছে যেখানে এখনও পুজো হয়। তবে এখানকার বেশিরভাগ অংশই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থা।
এরপর আমরা দুপুরের লাঞ্চ সেরে ঝাড়গ্রাম কে বিদায় জানিয়ে বাড়ি ফেরার বাস ধরি।
এরপর আমরা দুপুরের লাঞ্চ সেরে ঝাড়গ্রাম কে বিদায় জানিয়ে বাড়ি ফেরার বাস ধরি।
No comments