Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

Months

{fbt_classic_header}

Breaking News:

latest

Gour-Pandua Travel guide By Bidyut Ghosh Part 2

দ্বিতীয় পর্ব  (প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন )
প্রায় চারশো বছর ধরে মুসলিম শাসকদের অধীনে গৌড়ই ছিল প্রাচীন বাংলার রাজধানী।কিন্তু গঙ্গার গতিপথ পরিবর্তন,প্লেগ মহামারী,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ইত্যাদি নানা কারণে রাজধানী গৌড় থেকে সরিয়ে কোন নতুন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।সুলতান আলাউদ্দিন আলি শাহের আমলে(1339 খ্রিস্টাব্দ) পাণ্ডুয়াতে এই স্থান পরিবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হয়,পরে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহর সময় পাকাপাকিভাবে রাজধানী পাণ্ডুয়াতে উঠে আসে।কিন্তু পাণ্ডুয়ার ঐতিহ্য বেশীদিন স্থায়ী হয় নি।1453 সালে সুলতান নাসিরুদ্দিন মহম্মদ শাহ রাজধানী আবার গৌড়ে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
সুতরাং চোদ্দশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত প্রায় একশো বছর ধরে এই পাণ্ডুয়া ই ছিল প্রাচীন বাংলার রাজধানী।এই সময়ের মধ্যে দুবার 1353 ও 1359 সালে দিল্লির বাদশা ফিরোজ শাহ তুঘলক বাংলা দখলের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।পাণ্ডুয়ার 114 বছরের ইতিহাসে মোট 7 জন সুলতান এখানে রাজত্ব করেন।এরা সবাই ছিলেন ইলিয়াস শাহি বংশের,ব্যতিক্রম শুধু হিন্দু রাজা গণেশ,তার পুত্র যদু তথা বাদশা জালালুদ্দিন(ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরকরণের পর) ও তার পুত্র আহম্মদ শাহ। তবে মুসলিম শাসকদের আগেও একটি হিন্দু জনপদ হিসাবে এই পাণ্ডুয়ার অস্তিত্ব ছিল।তখন এর নাম ছিল পুণ্ড্রবর্দ্ধন।পাণ্ডুয়ার বিভিন্ন স্থাপত্যগুলিতে ব্যবহৃত ইঁট,পাথর ইত্যাদি দেখলেই বোঝা যায় সেগুলি একসময় কোন হিন্দু মন্দিরের অংশ ছিল।আসুন এবার আমরা পাণ্ডুয়ার ঐতিহাসিক স্থানগুলি একে একে দেখে নি।মালদা শহর ছাড়িয়ে প্রশস্ত NH-34 ধরে উত্তর দিকে 18 কিমি মত গেলেই পৌঁছে যাবেন পাণ্ডুয়াতে।হাইওয়ে ছেড়ে একটু বাঁদিকে গেলে প্রথমেই পড়বে
আদিনা মসজিদ বা জামি মসজিদ -বাংলার ঐসলামিক স্থাপত্যের বৃহত্তম নিদর্শন এই মসজিদ। একটি চালু প্রবাদ আছে "আগে মদিনা পরে আদিনা"।প্রায় 155 মিটার লম্বা আর 93 মিটার চওড়া এই মসজিদ একদা এই উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় মসজিদ ছিল।দামাস্কাসের Grand Mosque এর আদলে তৈরী এই মসজিদের নির্মাতা সুলতান সিকান্দর শাহ,নির্মাণকাল 1364-1374 সাল।অনেকের মতে সম্ভবতঃ কোন হিন্দু মন্দিরের কাঠামোর উপর এই মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল।মসজিদের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু, জৈন ও বৌদ্ধ মন্দির থেকে সংগ্রহ করে আনা কিছু মূর্তি,পাথরের ফলকের উপস্থিতি সেই ধারণাকেই প্রতিষ্ঠিত করে।যেমন মসজিদের দরজায় গণেশের মূর্তি খোদাই করা চৌকাঠ,প্রার্থনা মঞ্চের সিঁড়িতে বিদ্যাধর ও বিদ্যাধরী মূর্তি আঁকা পাথরের ফলক,নমাজ পড়ার দিক নির্ণয় কারী কিবলাতে খোদিত পদ্মফুলের মোটিফ ইত্যাদি।একটি উন্মুক্ত প্রার্থনাকক্ষের চারিদিকে রয়েছে খিলান ও গম্বুজ সমৃদ্ধ প্রদক্ষিণ পথ।সুন্দর খোদাই করা মেহরাব,আর রয়েছে ইমামের জন্য একটি উচ্চ পীঠ।এর উত্তর দিকে কাঠের মই বেয়ে দশ খিলান বিশিষ্ট একটি চাতালের মত জায়গায় ওঠা যায় যার নাম বাদশা কা তখৎ।এটি সুলতান ও তার পরিবারের মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল।মসজিদের পশ্চিম দেয়ালের বাইরের দিকে একটি ঘরে সুলতান সিকান্দার শাহর সমাধি আছে। পরবর্তীকালে মালদার কৃষক বিপ্লবের স্বঘোষিত নেতা জিতু সাঁওতাল তার দলবল নিয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ও এই আদিনা মসজিদ দখল করে তার দুর্গ হিসাবে ব্যবহার করে।সেটা 1932 সালের ঘটনা।কিন্তু শেষমেশ পরাক্রমশালী ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে শুধুমাত্র তীর ধনুক নিয়ে লড়াই করে বীরের মৃত্যু বরণ করে।
 
 
 
একলাখি স্মৃতিসৌধ-আদিনা মসজিদ থেকে দক্ষিণ দিকে কিছুটা গেলেই পড়বে এই স্মৃতিসৌধ।সেই আমলে এক লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরী হয়েছিল বলে এর এরকম নাম।সম্ভবতঃ রাজা গণেশ (কংস)তার ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত পুত্র যদুর জন্য তৈরী করেছিলেন।এই যদু ধর্মান্তরকরণের পর জালালুদ্দিন নাম নিয়ে বাংলার সুলতান হয়েছিলেন(1415-1431) এক গম্বুজ বিশিষ্ট চতুষ্কোণ এই সৌধের ভিতরে তিনটি কবর রয়েছে।সেগুলি যথাক্রমে সুলতান জালালুদ্দিন, তার বেগম ও পুত্র আহাম্মদ শাহের।এর বাইরের দিকে সুক্ষ ইঁটের কারুকাজ দেখার মত।
কুতুবশাহী মসজিদ- এর আরেক নাম ছোট সোনা মসজিদ।বিখ্যাত সুফী সন্ত পীর নূর-কুতুব-উল-আলম এর স্মৃতিতে তৈরী।মকদুম শেখ নামে তার এক বংশধর তথা শিষ্য 1582 খ্রিস্টাব্দে এটি তৈরী করেন।এর বৈশিষ্ট্য চারকোণে চারটি মিনার ও দশ গম্বুজ বিশিষ্ট ছাদ।এর দুটি অংশ স্তম্ভ ও খিলান দ্বারা বিভক্ত।মিনারের উপরিভাগে ও বাইরের দেয়ালে সোনালী কাজের জন্য এটিকে সোনা মসজিদও বলা হত।
আদিনা ডিয়ার পার্ক-ন্যাশনাল হাইওয়ের বাঁদিকে পাণ্ডুয়ার স্থাপত্যগুলি দেখে উল্টোদিকে অপেক্ষাকৃত সরু রাস্তা ধরে গ্রামের ভিতর দিয়ে দুকিমি মত গেলে পড়বে এই ডিয়ার পার্ক।এটি চিতল হরিণ (Spotted dear)এর একটি উল্লেখযোগ্য প্রজনন কেন্দ্র।এছাড়াও আছে বেশ কিছু নীলগাই ও পরিযায়ী পাখি।পার্কের প্রবেশমূল্য 15 টাকা জনপ্রতি(শুধুমাত্র রবিবার ও অন্য ছুটির দিনে),গাড়ির জন্য 20 টাকা।পার্কের গেট দিয়ে কিছুটা গেলেই বাঁদিকে পড়বে আদিনা ফরেস্ট বাংলো।আগে থেকে বুকিং করে এলে(অনলাইন) এখানে রাত্রিবাস করা যায়।সামনেই রয়েছে এক বিশাল জলাভূমি।শীতকালে এখানে প্রচুর মানুষ পিকনিক করতে আসে।পাণ্ডুয়া ও আদিনা ভ্রমণ শেষ করে আমরা ফিরে যাব মালদা শহরে,সেখানকার কিছু দ্রষ্টব্যস্থান দেখতে
 
 
এবার আমরা মালদা শহরের আশেপাশের আরও কিছু দেখার জায়গা নিয়ে আলোচনা করব।
1)জহরাতলা বা মা জহুরাকালীর মন্দির-মালদা শহর থেকে মাত্র 5 কিমি দূরে আমবাগানের মধ্যে এক মনোরম পরিবেশে এই মন্দির।বৈশাখ মাসের প্রতি মঙ্গল ও শনিবার মহাসমারোহে এখানে পূজো হয়।সেসময় হাজার হাজার মানুষের সমারোহে এই মন্দির চত্বর গমগম করে,মেলা বসে যায়।ভোরবেলা থেকে শুরু হয়ে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত পূজো চলে।প্রচুর বলিও হয়।এখানে মায়ের সেভাবে কোন মূর্তি নেই,তার জায়গায় রয়েছে সিঁদুর রাঙা একটি মাটির স্তূপ আর তার উপর একটি মাটির তৈরী রক্তবর্ণ মুখা বা মুখোশ।শোনা যায় প্রায় সাড়ে তিনশ বছর আগে উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত ছল্ব তেওয়ারির হাতে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়,তারপর থেকে এই তেওয়ারি পরিবারের হাতেই মায়ের পূজোর ভার ন্যস্ত।
2)ভারত সেবাশ্রম সংঘ, সাহাপুর-মালদা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা মহানন্দা নদীর অপর পাড়ে পুরাতন মালদার সাহাপুরে এই মন্দিরটির পরিবেশও বেশ মনোরম।
3)রূপ সনাতন মন্দির,মাধাইপুর-পুরাতন মালদার মাধাইপুর গ্রামেই ছিল শ্রীরূপ ও সনাতনের মামার বাড়ি।এই রূপ গোস্বামী ও সনাতন গোস্বামী ছিলেন বাদশা হুসেন শাহের দরবারের দুই গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিক।পরে চৈতন্যদেবের সংস্পর্শে এসে এদের সম্পূর্ণ মানসিক পরিবর্তন ঘটে।যাবতীয় ভোগসুখ বিসর্জন দিয়ে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারে জীবন নিয়োজিত করেন।
4)মনস্কামনা মন্দির-শহরের মধ্যে মনস্কামনা রোডে অবস্থিত এই চণ্ডী মন্দিরটিও খুব জাগ্রত।তবে ঐতিহাসিকদের মতে এটি আদতে ছিল শিবের মন্দির,শঙ্করাচার্য প্রবর্তিত দশনামী সম্প্রদায়ের সাধুদের হাতে প্রতিষ্ঠিত।তারা ছিলেন গিরি উপাধিধারী।বিশ্বম্ভর গিরি মহারাজ তাদের মধ্যে অন্যতম।পরে অবশ্য এই মন্দিরের দায়িত্ব চলে যায় উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা তেওয়ারি ব্রাহ্মণদের হাতে।
5)রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রম-বেলুড় মঠের আদলে নবনির্মিত এই আশ্রম সংলগ্ন মন্দিরটি দেখার মত।সময় থাকলে এখানকার সান্ধ্যভজন অবশ্যই দেখবেন।
6)মালদা মিউজিয়াম-রামকৃষ্ণ মিশনের কাছেই বাঁধ রোডে এই মিউজিয়ামের সংগ্রহ দেখার মত।পাল,গুপ্ত যুগ থেকে শুরু করে তার পরবর্তী নানা সময়ের নানা মূর্তি,তাম্রলিপি,শিলালেখ,মুদ্রা,অস্ত্রশস্ত্র,পোড়ামাটির বাসন,তুলট কাগজ ও তালপাতায় লেখা অসংখ্য পুঁথি এই সংগ্রহশালায় রাখা আছে। এছাড়াও মালদা জেলার আরো দুটি দ্রষ্টব্যস্থানের উল্লেখ করছি।
মদনাবতী-বামনগোলা থানার নালাগোলায় এই গ্রামে একদা বাংলা গদ্য সাহিত্যের অন্যতম প্রবর্তক উইলিয়াম কেরী নীলকুঠির দায়িত্ব নিয়ে বেশ কয়েক বছর ছিলেন।তার তৃতীয় পুত্র পিটার অসময়ে মারা গেলে তাকে এখানেই সমাহিত করা হয়।
জগজীবনপুর-মালদা শহর থেকে প্রায় 40 কিমি দূরে এই গ্রামে তুলাভিটা বলে এক ঢিবি খনন করে নবম শতাব্দীতে তৈরী একটি বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এছাড়াও পাল বংশের রাজা মহেন্দ্রপালের সময়ের একটি তাম্রফলক,বেশকিছু পোড়ামাটির জিনিস ইত্যাদি বেরিয়ে এসেছে।এর মধ্যে বেশ কিছু নমুনা মালদা মিউজিয়ামে রাখা আছে।
এবারে থাকা,খাওয়া,যাতায়াত,কেনাকাটা সম্বন্ধে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য।
উত্তরবঙ্গগামী বহু ট্রেন মালদা যায়।তবে উল্লেখযোগ্য হলো গৌড় এক্সপ্রেস (13153) শিয়ালদহ থেকে রাত ১০.১৫তে ছাড়ে। সরকারি,বেসরকারি বাস সার্ভিসও বেশ ভালো।সম্প্রতি ভলভো বাস পরিষেবা চালু হয়েছে।সপ্তাহে একদিন বুধবার কোলকাতার সঙ্গে হেলিকপ্টার সার্ভিস আছে।তবে তা মাঝেমাঝেই অনিয়মিত।
থাকা-বিভিন্ন মানের ও দামের প্রচুর হোটেল রয়েছে মালদায়।রথবাড়ি মোড়ে সরকারি ট্যুরিস্ট লজ,পুরোনো বাসস্ট্যান্ডের কাছে কন্টিনেন্টাল হোটেল,অতুল মার্কেটে হোটেল আপ্যায়ন,নেতাজি মোড়ে হোটেল গীতাঞ্জলি,রথবাড়ির কাছে হোটেল ইন্দ্রপ্রস্থ,34 নং জাতীয় সড়কের উপর হোটেল কলিঙ্গ,হোটেল ম্যাঙ্গো লিফ এগুলি বেশ ভালো।এছাড়াও শহরের বাইরে থাকতে চাইলে সুস্থানি মোড়ের কাছে মায়াবন রিসর্ট আর নারায়নপুরে হোটেল গোল্ডেন পার্ক বেশ ভালো অপশন।
খাওয়া দাওয়া- রাজমহল রোডে আহেলি রেস্তরাঁ,স্টেট বাসস্ট্যান্ডের কাছে বেদুইন,ইন্ডিয়ান্স,দক্ষিণী স্টাইল খাবারের জন্য মনস্কামনা রোডে মিঃ এন্ড মিসেস ইডলি,মোকদমপুরের পিৎজা হাট,মালদা কলেজের উল্টোদিকে সেলিব্রিটি রেঁস্তোরা এগুলি বেশ ভালো।
কেনাকাটা- মালদার আমের নানারকম আচার,কাসুন্দি ও আমসত্ত্ব অবশ্যই নিয়ে আসবেন।চিত্তরঞ্জন মার্কেটের ফলের দোকানে বা অন্য মণিহারী দোকানে পেয়ে যাবেন।এছাড়াও মালদার দুটি বিখ্যাত মিষ্টি কানসাট ও রসকদম্ব অবশ্যই চেখে দেখবেন।এর জন্য রয়েছে রাজমহল রোডে পাবনা সুইটস,বাঁধ রোডে সারদা সুইটস,এল আই সি মোড়ের কাছে কানসাট সুইটস ইত্যাদি।
মালদার আর এক প্রসিদ্ধ জিনিস হল সিল্কের শাড়ি,থান ইত্যাদি।এগুলির জন্য চিত্তরঞ্জন মার্কেট বা অতুলচন্দ্র মার্কেটের গান্ধী খাদি আশ্রম ও ভবন বিশ্বস্ত।
দ্রষ্টব্য স্থানগুলিতে যাতায়াত- শহরের বাইরের জায়গাগুলি দেখতে রথবাড়ি মোড়,গাজোল ট্যাক্সি স্ট্যান্ড বা মডেল মাদ্রাসা রোড স্ট্যান্ড থেকে গাড়ি ভাড়া করতে হবে।গাড়ি ভেদে গৌড় ঘোরার জন্য 700 থেকে 1500 টাকা চাইবে।আদিনা পাণ্ডুয়ার জন্যও মোটামুটি তাই।তবে বেশ দরদাম চলে।একসঙ্গে দুটো জায়গা ঘুরলে কিছুটা কম পরবে।
এছাড়া শহরের মধ্যের ও আশেপাশের জায়গাগুলি দেখার জন্য চুক্তিতে টোটো ভাড়া করতে পারেন।একজন ড্রাইভারের নম্বর দিচ্ছি।প্রয়োজন হলে গাড়ির জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।কানাই সর্দার- 9475754558।
উপযুক্ত সময় -এবার খুব গরম আর বর্ষার সময়টা বাদ দিয়ে সপ্তাহান্তের ছুটিতে ঘুরে আসুন বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী এই শহর থেকে।আশা করি নিরাশ হবেন না।
 

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

No comments

Ads Place