পাহাড় জঙ্গল সমুদ্র ঘেরা একটা আদর্শ উইকএন্ড ডেস্টিনেশন চাঁদিপুর। কোলকাতা থেকে সড়কপথে মাত্র ২৫৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাঁদিপুর বহুদিন ধরেই বাঙালিদের অন্যতম পছন্দের জায়গা।দিঘা পুরি বা মন্দারমণি ঘুরে যারা ভাবছেন একটু স্বাদ বদল করবেন তারা একবার ঘুরে আসতেই পারেন চাঁদিপুর। ট্রেনে গেলে বালাসোর স্টেশনে সকাল সকাল নেমে অটো ধরে সোজা চাঁদিপুর। সমুদ্রের কাছেই বিভিন্ন দামের অনেক হোটেল পাওয়া যায়.আগে থেকে বুক করার ঝক্কি নেই। এখানকার সমুদ্র একেবারে শান্ত।ভাটার সময় সমুদ্রের মধ্যে প্রায় এক কিলোমিটার হেটে চলে গেলেও জল হাঁটুর নিচে থাকবে।দুপুর ১২ টার পর থেকেই জল আস্তে আস্তে পিছোতে শুরু করে,একসময় প্রায় মরুভূমির মতো দেখতে হয়ে যায়।প্রথমদিনটা সমুদ্রের আশেপাশে ঘুরে পরের দিন সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ুন সাইটসিইং এ। প্রথমেই পঞ্চলিঙ্গেশ্বর থেকে উদালা হয়ে যান দেবকুন্ড দেখতে।দেবকুন্ডের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার আগে চেকপোস্টে এন্ট্রি ফি দিয়ে কিছুটা পাহাড়ি পথ আর জঙ্গলের রাস্তা পেরিয়ে পৌঁছে যান সিমলিপালের আরো গভীরে। শেষ দুই কিলোমিটার হাঁটা পথ। তবে পথের এক ধারে বয়েচলা ঝর্ণা আর অন্য ধারের পাহাড় জঙ্গল ঘেরা রাস্তায় ভাগ্য প্রসন্ন থাকলে দেখা পেতে পারেন 'নীলগিরি জায়েন্ট স্কুইরেল'। প্রায় পঞ্চাশফুট উপর থেকে নেমে আসা জলপ্রপাত নিচে যে কুন্ড তৈরী করেছে অর্থাৎ সেই দেবকুন্ড দেখে ২০০ সিঁড়ি ভেঙে পৌঁছে যান দূর্গা মন্দির।এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আপনার মন ভরবেই। এরপর পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের আদলে তৈরি ইমামী জগন্নাথ মন্দির,ক্ষীরচোরা গোপীনাথ মন্দির দর্শন করে এবং অবশ্যই এখানকার বিখ্যাত ক্ষীর খেয়ে (কুড়ি টাকা, চল্লিশ টাকা এবং ষাট টাকা এই তিনটি সাইজের ভাঁড়ে পাওয়া যায় ) ভগবান শ্রী কৃষ্ণ কে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ে সন্ধের মধ্যেই ফিরে আসুন চাঁদিপুর।
কিভাবে যাবেন :
১ম দিন - কলকাতা থেকে সকালে বেরিয়ে বালাসোর চলে আসুন। এখান থেকে অটো বা গাড়ি করে চলে আসুন চাঁদিপুর। বিকালে ঘুরে নিন বুরিবালাম।
২য় দিন - ঘুরে আসুন পঞ্চলিঙ্গেশ্বের মন্দির , দেবকুন্ড ,ইমামী জগন্নাথ মন্দির,ক্ষীরচোরা গোপীনাথ মন্দির
৩য় দিন - কলকাতায় ফিরে আসুন।
কিভাবে যাবেন :
- কোলকাতা থেকে সড়কপথে মাত্র ২৫৭ কিলোমিটার
- ট্রেনে গেলে বালাসোর স্টেশনে নামতে হবে ওখানথেকে অটো
- দ্বিতীয়দিন একটা গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে নিতে হবে
যাওয়ার আগে অবশ্যই মনে রাখবেন
- যাঁরা সমুদ্রস্নান পছন্দ করেন, চাঁদিপুর তাঁদের জন্য নয়। পূর্ণিমা/অমাবস্যা বা ভরাকোটাল ইত্যাদি বিষয় গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে
- চাঁদিপুরে সস্তায় ভালো খাওয়াদাওয়ার জন্য otdc র পন্থনিবাসের পাশের সনজু হোটেলে কাঁচা মাছ মাংস কিনে দিলে সস্তায় রান্না করে দেবে।
- বুড়িবালামে সকালের দিকে মাছের বাজার বসে।
- জঙ্গলে গেলে জোঁক থেকে সাবধান।
১ম দিন - কলকাতা থেকে সকালে বেরিয়ে বালাসোর চলে আসুন। এখান থেকে অটো বা গাড়ি করে চলে আসুন চাঁদিপুর। বিকালে ঘুরে নিন বুরিবালাম।
২য় দিন - ঘুরে আসুন পঞ্চলিঙ্গেশ্বের মন্দির , দেবকুন্ড ,ইমামী জগন্নাথ মন্দির,ক্ষীরচোরা গোপীনাথ মন্দির
৩য় দিন - কলকাতায় ফিরে আসুন।
No comments